Freelancer

ফ্রিলানসিং কী:?

ফ্রিলানসিং (Freelancing ) এর অর্থ হল স্বাধীন বা মুক্তপেশা। অর্থাৎ কেউ যদি ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেশ অথবা বিদেশের কোন ব্যাক্তি/ প্রতিষ্ঠানের অধীনে না থেকে অস্থায়ীভাবে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অর্থের বিনিময়ে ঐ প্রতিষ্ঠানের কোন কাজ করে, তবে তাকে ফ্রিলানসিং বলে। এ ধরনের পেশাজীবীকে ফ্রিলানসার বা স্বাধীন পেশাজীবী বলে। এরা স্বনির্ভর ( Self- employed) ফ্রিলানসাররা তাদের কাজের উপর খুব বেশি দক্ষ এবং অভিজ্ঞতাসম্পূন্ন হয়ে থাকে। এরা শর্ত বা চুক্তির উপর নির্ভর করে কাজ করে। তাই তাদের মাসিক আয়ও নির্দিষ্ট নয়। কাজ পাওয়া বা না পাওয়ার উপর নির্ভর করে মাসিক আয় কম বেশি হতে পারে।

একজন সফল ফ্রিলানসার হতে কী কী প্রয়োজন:?

একজন সফল ফ্রিলানসার হতে যা প্রয়োজন তার মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো অদম্য ইচ্ছাশক্তি। কারণ আপনি এ সেক্টরে যদি সফল হওয়ার মতো ইচ্ছা বা আগ্রহ সৃষ্টি করতে না পারেন, তবে আপনার ঝড়ে পড়ার সম্ভবনা রয়েছে। অনেকে ফ্রিলানসিংয়ের সুযোগ সুবিদা আর অর্থ আয়ের কথা মাথায় এনে এখানে আসলেও যথেষ্ট ধৈর্য, সময়, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে মাত্র দু’য়েক বছরের মধ্যে ঝড়ে পড়ে। এজন্য একজন সফল ফ্রিলানসার হওয়ার জন্য যা প্রয়োজন তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ইচ্ছাশক্তি। বিশ্বস্ত কোন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান থেকে মানসম্মত প্রশিক্ষণ নিতে হবে। তাদের শেখানো দিক নির্দেশনা অনুযায়ী পথচলা শুরু করতে হবে। সে অনুযায়ী নিয়মিত প্র্যাকটিচ করতে হবে। ফ্রিলানসার হওয়ার জন্য যা যা প্রয়োজন তার মধ্যে অন্যতম হলো বেসিক ইংরেজী জানা। অনেক বায়ার আছে যারা স্পষ্ট কাজের দিক নির্দেশনা দেওয়ার পরেও সেলার ইংরেজী ভালভাবে না বুজার ফলে বায়ার এবং সেলারের মাঝে মিসআন্ডারস্ট্যান্ডিং শুরু হয়ে যায়। ফলস্বরুপ অর্ডার ক্যানসেল, নেগেটিভ ফীডব্যাক। তাই চেষ্টা করবেন ইংরেজীতে ভাল করার জন্য। আপনি যেহেতু প্রতি নিয়ত অনলাইনে কাজ করবেন, তাই আপনার প্রয়োজন হবে আনলিমিটেড ইন্টারনেট কানেকশন। লিমিটেড ইন্টারনেট কানেকশন দিয়ে আপনি কিছু শিখতে পারবেন না। ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারের কাছ থেকে রিয়েল আইপিসহ একটি ব্রডব্যান্ড কানেকশন নিয়ে নিবেন। তবে যদি আপনার এলাকায় এরকম কোনো সার্ভিস না থাকে, তাহলে আপনি মডেম অথবা মোবাইল দিয়ে চালিয়ে যেতে পারেন। ফ্রিলানসিংয়ে এ সফল হতে হলে কাজে অভিজ্ঞ হয়ে উঠতে হবে, ধৈর্য ও সময় নিয়ে কাজ করতে হবে। সাথে থাকতে হবে দ্রুতগতির ইন্টারনেট কানেকশন এবং আপনার কাজের উপযোগী একটি ডিভাইস।

ফ্রিলানসিং শিখার জন্য কেমন কম্পিউটার প্রয়োজন:

ফ্রিলানসিং করার জন্যে কোন কম্পিউটার আপনার কাজের ‍উপযুক্ত হবে সেটা জানার জন্য আপনাকে আগে কম্পিউটারের প্রসেস এবং জেনারেশন এ দুইটা বিষয় জানতে হবে। কম্পিউটারের প্রসেস গুলো সাধারণত ছোট ছোট ট্রানজিস্টার দ্বারা তৈরী হয়। এসব ট্রানজিস্টার যত ছোট হয় প্রসেসর এর পারফর্মেন্স বা কর্মদক্ষতা তত ভালো হবে। ইন্টেল প্রতি জেনারেশনে এই ট্রানজিটার যেটা ইন্টেল ব্যবহার করে তার সাইজ ন্যানোমিটার: তার পূর্বে ছিল ২০ ন্যানোমিটার, তার আগে ২৮, এভাবে ছিল। জেনারেশন যত বেশি আপডেট হবে কম্পিউটারের পারফরমেন্স ততবেশি বাড়বে। সহজ কথায়, জেনারশেন বলতে কম্পিউটারের পার্টস এবং প্রসেসরের নতুন সস্করণ বুঝায়। অনেক সময় আপনার কম্পিউটার পুরোনো জেনারেশনের হওয়ার ফলে নতুন সস্করণের সফটওয়্যারগুলো ইনস্টল করা যায় না। তাই কম্পিউটার নেওয়ার সময় আপডেট জেনারেশন দেখে নিবেন। বর্তমানে দেশের বাজারে ইন্টেলের ১৩ জেনারেশনের প্রসেসর পাওয়া যায়। একটি কম্পিউটার কত জেনারেশন তা আপনি কীভাবে বুঝবেন প্রথমে আপনার কম্পিউটারের “Desktop – This PC এর উপর মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করে অপশন থেকে Properties এ ক্লিক করুন। এরপর স্ক্রীনে আপনার কম্পিউটারের বিস্তারিত দেখতে পারবেন। তো ফ্রিলানসিং কাজ শুরু করার জন্য মোটামুটি মানের একটি লেপ্টপ অথাবা কম্পিউটার হলেই চলবে।